করোনার আগে বেশ কয়েক বছর দেশে গাড়ির বাজারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। ওই সময়ে গাড়ির যন্ত্রাংশের বাজারও বেড়েছে ১২ শতাংশ হারে। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলের বাজারেও প্রবৃদ্ধি এসেছে। ভবিষ্যতে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার বড় হবে বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, দেশ থেকে এই গাড়ি রপ্তানির সম্ভাবনাও আছে। তবে এ জন্য বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ ব্যবসা সম্মেলনের সমাপনী দিনে গতকাল সোমবার দেশের গাড়িশিল্পে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে আয়োজিত এক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁরা এই শিল্পে দেশীয় মূল্য সংযোজন বাড়ানোর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করার জন্য আলাদা শিল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির চলাচল এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সম্ভাবনার কোনো কমতি নেই, তবে এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য দরকার বড় বিনিয়োগের। অন্যথায় আমদানি করতে হবে। তাতে আমাদের খুব বেশি লাভ হবে না। নিজেরা শিল্প গড়ে তুলতে পারলে দেশীয় বাজার ধরার পাশাপাশি রপ্তানি বাজারেও ভালো করার সম্ভাবনা আছে।’
রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘গাড়িশিল্প নিয়ে নীতিমালা হয়েছে। মোটরবাইক ও ইলেকট্রিক বাইকের নীতিমালা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। এখন বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের এমডি ইয়াসির আজমান, সিমেন্স বাংলাদেশের এমডি প্রসাদ পালসোকার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সাবেক এমডি বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এমসিসিআইয়ের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম।